
রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় নারী সাংবাদিককে হেনস্থার ঘটনার আলোচিত প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিশান (২৫)সহ সর্বমোট ০৩ জনকে ঢাকার বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারসহ বিভিন্ন সময়ে সংঘঠিত চাঞ্চল্যকর, হত্যাকারী, ধর্ষণকারী এবং আলোচিত বিভিন্ন ঘটনার সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ০২/০৩/২০২৫ তারিখ রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় যৌন হয়রানি সংক্রান্ত একটি ঘটনা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে তা ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে। বিষয়টি র্যাব-৩ এর নজরে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব সহকারে র্যাব-৩ কর্তৃক ছায়া তদন্ত শুরু হয়। উক্ত বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর রামপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনীঃ ২০০৩) একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখিত এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩ এর একাধিক গোয়েন্দা ও অপারেশনাল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে।
গোয়েন্দা সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত মামলার
প্রধান অভিযুক্ত ১।সোয়েব রহমান জিশান (২৫)*, পিতাঃ মোঃ মিজানুর রহমান খান, সাং-ফুলহাতা, থানাঃ মোড়লগঞ্জ, জেলাঃ বাগেরহাট’কে ০৩/০৪/২০২৫ তারিখ গভীর রাতে রাজধানীর রামপুরা থানাধীন মেরাদিয়া এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর রমনা থানাধীন বেইলি রোড এলাকা হতে ২। মোঃ রাইসুল ইসলাম (২১),পিতা- মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, সাং-চহটা, থানাঃ বরিশাল সদর, জেলাঃ বরিশাল’কে এবং শ্যামপুর থানাধীন গেন্ডারিয়া এলাকা হতে ৩। মোঃ কাউসার হোসেন (২১),পিতা মোঃ নুরুল আমিন, সাং-রাজ্জাকপুর, থানাঃ বরিশাল সদর, জেলাঃ বরিশাল’কে ০৩/০৪/২০২৫ তারিখ সকালে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের রামপুরা থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।